বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন

শীতের আগমনীতে দেশে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি

ইবি প্রতিবেদকঃ শীতের আগমনী বার্তায় দেশে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লেক ও পুকুরজুড়ে সরালি হাঁস, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুনতে হাঁস এবং মানিকজোরসহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখির কলতানে মুখর থাকে ক্যাম্পাস। প্রতিবছরের মতো শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখির দল।

প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও শুধু উষ্ণতা ও খাবারের সন্ধানে হাজারেরও বেশি মাইল পাড়ি দিয়ে অতিথি পাখিরা জমা হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এ অতিথি পাখির কলকাকলি আর ডানা ঝাপটার শব্দ মুগ্ধ করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়নাভিরাম মফিজ লেক ও প্রকৌশল ভবনের পেছনের পুকুরে এসব পাখি বাসা বেঁধেছে। এসব পাখির মধ্যে সরালি হাঁস, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুনতে হাঁস, বালি হাঁস, মানিকজোর প্রভৃতি রয়েছে।

তবে এদের মধ্যে সরালি হাঁস উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দেখা যাচ্ছে। জলাশয়ের পাড়ে অনেক সরালি ঝাঁক বেঁধে উড়ছে। এ পাখিরা ডানা মেলে উড়াউড়ি ও দলবেঁধে পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে। এসব পাখিদের কলকাকলিতে মুখর পুরো ক্যাম্পাস।

এসব অতিথি পাখি শীতের শুরু থেকে আসতে শুরু করে এবং শীত শেষে যখন গ্রীষ্মের শুরু তখন ওরা আবার ফিরে যায় নিজেদের আপন ঠিকানায়। তবে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখিদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এদের কিচিরমিচির শব্দে বিরাজ করে এক মধুময় আবহ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মিঠুল মিয়া বলেন, অতিথি পাখি বাংলাদেশের প্রকৃতিতে যোগ করে নতুন মাত্রা। এ সাইবেরিয়ানদের আগমনে প্রকৃতির সৌন্দর্য বেড়ে যায় বহুগুণে। বিকেলে লেক ও পুকুরের দিকে গেলে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে আমরা মুগ্ধ হই। এসব পাখির নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করতে জলাশয় গুলোকে অভায়রণ্যে পরিণত করা প্রয়োজন।

পরিযায়ী পাখি পরিবেশের জন্য উপকারও বটে। সৌন্দর্যই শুধু নয়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যেও পাখিদের বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন আছে। পাখি হলো প্রকৃতির কীটনাশক। পাখির সংখ্যা কমে গেলে কীটপতঙ্গের অত্যাচারে অসম্ভব হয়ে পড়বে ফসল ফলানোয়। তাই এসব পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com